চট্টগ্রাম আদালত থেকে পলাতক মাদক মামলার আসামি শামসুল হক বাচ্চুকে (৭১) ১৩ দিন পর সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী বাস স্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে ৩৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। রবিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। বাচ্চু কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি মডেল থানার ১ নং কালী বাজার ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত রহমত আলীর ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ বলেন, চট্টগ্রাম আদালত থেকে পলাতক মাদক মামলার আসামি শামসুল হক বাচ্চুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে।
তিনি আরো জানান, গত ৪’জানুয়ারি চন্দনাইশ থানার উত্তর গাছবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে এক হাজার পিস ইয়াবাসহ শামসুল হক বাচ্চুকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চন্দনাইশ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পর দিন ৫ জানুয়ারি আদালতে পাঠানো হয়। চন্দনাইশ থানা পুলিশ জিআরও শাখায় আসামিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরে আদালত থেকে কৌশলে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটির তদন্তে পুলিশের দায়িত্ব অবহেলার কারণে উক্ত আসামি পালানোর প্রমাণ পান। এ ঘটনায় আদালতে কর্মরত সাত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যদের জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আসামি পালানোর ঘটনায় ৬ জানুয়ারি নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। চট্টগ্রাম আদালতের সদর কোর্ট পরিদর্শক জাকের হোসাইন মাহমুদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় পলাতক আসামি শামসুল হক প্রকাশ বাচ্চুকে আসামি করা হয়।
পাঠকের মতামত